তিমির বিদারী পাঠাগার
"মুক্তির পথে আলোর দিশারী", এই স্লোগান ধারণ করে হাওরের অন্ধকার দূরীকরণের লক্ষ্যে ২০১০ সালের শেষ দিকে কাজ শুরু করে তিমির বিদারী পাঠাগার। সাহিত্যের প্রতিটি পরতে পরতে ছড়িয়ে রয়েছে এই পাঠাগারের বইগুলো। শিশু শিক্ষা ও বিনোদনমূলক বই থেকে শিক্ষার্থী এবং সকল শ্রেণির পাঠকের জন্য উপযোগী বইয়ের সমাহারে পাঠাগারটি পরিপূর্ণ। ধর্মীয় শিক্ষার প্রায় প্রতিটি শাখার বই রয়েছে পাশাপাশি রয়েছে উপন্যাস, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক রচনাবলী, গল্প, প্রবন্ধ, কবিতা, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী (সায়েন্স ফিকশন), সাধারণ জ্ঞান, ইংরেজি ব্যাকরণ, তিন গোয়েন্দা সিরিজ সহ বিভিন্ন বিদেশি লেখকদের লেখা বইয়ের অনুবাদসহ তাঁদের লেখা ইংরেজি বই।
"পড়িলে বই আলোকিত হই, না পড়িলে বই অন্ধকারে রই", এই বার্তা ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় পাঠাগারটি। গ্রামের সকল মানুষ বিনামূল্যে বই নিতে পারে পড়ার জন্যে। মূলত আদিম সভ্যতার আলোকে গঠিত হাওরের গ্রামগুলোর মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করাই পাঠাগারের মূল উদ্দেশ্য। গ্রামের জনগণ তাঁদের মৌলিক চাহিদা সম্পর্কে সচেতন নয়; বিশেষ করে চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়ে গেছে আদিম আদলেই। শুধুমাত্র উপজেলা সদরে হাসপাতাল রয়েছে কিন্তু সেখানেও সেবার মান রয়ে গেছে জনগণকে বঞ্চিত করার বিভিন্ন কৌশল নিয়েই। ইউনিয়ন এর জন্যে আলাদা কোন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নেই।
গ্রামের প্রথম গণগ্রন্থাগার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে তিমির বিদারী পাঠাগার। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পাঠাগারটির পরিচালনার দায়িত্যে রয়েছে একঝাঁক তরুণ যারা হাওরের উন্নয়নের স্বপ্ন বুকে ধারণ করে এগিয়ে চলছে দৃপ্ত পায়ে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গ্রামের মানুষের অব্যাহত সহযোগিতাই সাহস যুগিয়ে যাচ্ছে বিশাল সমুদ্র পাড়ি দেয়ার দুঃসাহসিকতাকে। প্রতিষ্ঠাতার আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে পেয়ে যাচ্ছে মানসিক, আর্থিক সহায়তাসহ সার্বিক সহযোগিতা। যার কথা না বললেই নয় সেই ব্যক্তি হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা রাকিব ছিদ্দিকী, যার সমালোচনা আমার চলার পথ করে দিয়েছে শাণিত। প্রতিটি কাজেই উনি বিরোধিতা করে আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা যাচাই করতে চাইতেন যা আমার স্বল্প অভিজ্ঞতাকে দিয়েছে বিস্তৃত করে। কিন্তু প্রযুক্তি জগতের সব কাজগুলোই চলছে তাঁর সফল নেতৃত্বে।