তিমির বিদারী পাঠাগার
আধুনিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন প্রজাত
লেখক: ডঃ হারুন জাহাঙ্গীর
দাতা: এরশাদ মিয়া
নদী মাতৃক এ দেশ আমাদের বাংলাদেশ। ধান ও মাছের প্রাচুর্যতা ছিল বলেই এক সময় আমাদের মাছে ভাতে বাঙালি বল হত। বিভিন্ন সময়ে ধানের উচ্চফলনশীল জাতের আবিষ্কার হলেও মাছের ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। জনসংখ্যার ভারে ন্যুব্জ বাংলাদেশের প্রতি বর্গকিলোমিটারে বসবাস করে প্রায় ৯৭০ জন অর্থাৎ প্রায় ১০০০ জন। আর দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করে প্রায় ৪০% মানুষ। আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যার আধিক্যের কারণে বাংলাদেশের মানুষ পাচ্ছে না সঠিক মাত্রায় খাদ্য ও পুষ্টি। এই বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা মিটাতে মাছ বহুলাংশে সক্ষম। মাছ অত্যন্ত পুষ্টিকর আমিষ জাতীয় খাদ্য। আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যে প্রাণীজ আমিষের প্রায় ৫৮% আসে মৎস্য থেকে। মাছের এই বিপুল চাহিদা পূরণ করতে হলে প্রয়োজন সঠিক পদ্ধতিতে মাছের চাষ। পারিবারিক এবং বাইরের চাহিদা মেটানোর জন্য আপনার ঘরের কাছের খালি জায়গাটুকুতেই আপনি অনায়াসে মৎস্য খামার গড়ে তুলতে পারেন। এতে এক দিন থেকে যেমন বেকারত্ব দূর করা সম্ভব হবে। অন্যদিকে নিজের সহ পারিবারিক অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জনেও সঠিক ভূমিকা রাখতে পারবেন। এই বইতে সম্পূর্ণ আধুনিক পদ্ধতিতে এবং সহজ উপায়ে কীভাবে মাছ চাষ করা এবং বিভিন্ন মৎস্য ব্যবস্থাপনা করা সম্ভব সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করা যায় এই বইয়ের পদ্ধতিগত কৌশলগুলো সঠিকভাবে আয়ত্ত করতে পারলে আপনার বাড়ির আশেপাশের ডোবা, পুকুর এবং গ্রাম পর্যায়ের জলাশয়গুলো পর্যন্ত মাছ চাষের আওতায় আনা সম্ভব হবে।