তিমির বিদারী পাঠাগার
আধুনিক পদ্ধতিতে হাঁস মুরগি কবুত
লেখক: ডঃ হারুন জাহাঙ্গীর
দাতা: এরশাদ মিয়া
ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে আমিষ জাতীয় খাদ্যের ঘাটতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে পুষ্টির অভাবে মানসিক বিকাশ বিঘ্নিত হচ্ছে দেশের অগণিত শিশুর। এই কারণে আমিষের এ অভাব মেটাতে মুরগি পালনের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান বিশেষ জরুরী। খুব অল্পসময়ে অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে সাম্প্রতিক সময়ে হাঁস-মুরগি পালন একটি লাভজনক ও সম্ভাবনাময় কৃষি শিল্প হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সঠিক পরিকল্পনায় হাঁস-মুরগি খামার স্থাপনের মাধ্যমে হাঁস-মুরগি পালনে জনগণের উৎসাহ দিন দিন বেড়ে চলেছে। হাঁস-মুরগি পালনের জন্য বাংলাদেশের আবহাওয়াও বেশি উপযোগী। জনগণের উৎসাহের সঙ্গে সঙ্গে সরকারও উন্নত জাতের হাঁস-মুরগি পালনে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। বসতবাড়িতে অল্প শ্রম ও কম খরচে হাঁস-মুরগি পুষে পরিবারের প্রোটিন জাতীয় খাদ্যের ঘাটতি সহজেই মেটানো যায়। পারিবারিকভাবে হাঁস-মুরগি পালনের ফলে পরিবারের অল্পবয়স্ক ছেলে-মেয়ে, যুবক-যুবতী এমনকি বুড়ো-বুড়িরাও তাদের অবসর সময়ে কিছু না কিছু কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারেন। এছাড়া হাঁস-মুরগির সাথে কবুতর, কোয়েল ময়ূর ও উটপাখি পালনও বেশ লাভজনক অবস্থানে রয়েছে।
সুতরাং লাভজনকভাবে বিভিন্ন ধরনের পাখি জাতীয় প্রাণীদের সংসার গড়ার আগে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে উন্নত চাষের আধুনিক কলা-কৌশল। এই বইতে সম্পূর্ণ আধুনিক পদ্ধতিতে এবং সহজ উপায়ে কীভাবে বিভিন্ন ধরনের গৃহপালিত পাখি পালন করা এবং বিভিন্ন বিক্রয় ব্যবস্থাপনা করা সম্ভব সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন তথ্য আহরণ করে এই বইতে যুক্ত করা হয়েছে। বিশেষ করে বেশ কিছু কৃষি সাইট থেকে মল্যবান তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।